• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দিনাজপুরে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান 

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আমন মৌসুমে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ভেস্তে গেছে। নির্ধারিত সময়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও এখনও ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২০ মেট্রিক টন। উপজেলার ২টি সরকারি খাদ্যগুদামে চলতি মৌসুমে ৬৭৫ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কার্যক্রম শুরু হওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। ক্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছে ৬৫৫ মেট্রিক টন ধান।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কৃষকরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে খাদ্য কর্মকর্তারা দাবি করলেও কৃষকরা বলছেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে গিয়ে নানামুখী হয়রানীর শিকার হতে হয়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৩ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে, যা চলবে চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ৩০ এবং চাল ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সংগ্রহ অভিযান শেষ সময়েও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত না হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে সিদ্ধ চাল সংগ্রহে। আমনে ৪ হাজার ৩৯৪ দশমিক ০৮০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরোটাই সংগ্রহ হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই।

পৌর এলাকার চকচকা গ্রামের আদর্শ কৃষক অবসরপ্রাপ্ত কলেজ অধ্যক্ষ মো. জিল্লুর রহমান বলেন, আগে তো কৃষি কার্ড দিয়েই সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতেন। কিন্তু এখন তো অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম হওয়ায় সেটি করা হয় না। তাছাড়া গুদামে ধান দিতে গেলে ধানের আদ্রতা, কাঁচা-পাকা নানা অজুহাতে কৃষকদের হয়রানী করা হয়। এজন্য খাদ্য গুদামের চেয়ে হাটবাজারে ধান বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন তিনি। তাছাড়া সরকারি ক্রয় মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় তিনিসহ কৃষকরা বাজারেই ধান বিক্রি করে দিয়েছেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মঈন উদ্দিন বলেন, সরকারি ধানের মূল্য থেকে বাজারে ধানের মূল্য বাড়তি ছিল, তাই কৃষকরা ঘাটতি দিয়ে সরকারি দামে ধান দেননি। যার ফলে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ করা যায়নি। তবে লক্ষ্যমাত্রার পুরোটাই সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –